বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় দেশে বিনিয়োগের সুযোগ সম্প্রসারণ তথা শিল্পায়ন, পণ্যের বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বাজার সম্প্রসারণ, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি সর্বোপরি রপ্তানি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাট ও পাটজাত পণ্য জাতীয় রপ্তানিতে ধারাবাহিকভাবে ২য় স্থান অর্জন করছে । পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন,২০১০ বাস্তবায়ন হওয়ায় পাটপণ্যের অভ্যন্তরীন চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ৯৯ কোটি পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে । কৃষকগণ পাটের ন্যায মূল্য পাওয়ায় পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে । পাটনীতি ২০১৮ ও পাট আইন ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ প্রথম বারের মত জাতীয় বস্ত্র দিবস এবং ৬ মার্চ ২০২০ চর্তুথ বারের মত জাতীয় পাট দিবস উদযাপিত হয়েছে ।বস্ত্রশিল্পের সামগ্রীক বিষয়ে উৎকর্ষতা ও সাফল্যের জন্য সংশ্লিষ্ট ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে এবং পাটশিল্পের সামগ্রীক বিষয়ে উৎকর্ষতা ও সাফল্যের জন্য সংশ্লিষ্ট ১২টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। বিটিএমসি'র ২টি মিল পিপিপি'র মাধ্যমে চালুকরণের লক্ষ্যে চুড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর এবং জমি উন্নয়নের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। বস্ত্র আইন ২০১৮ প্রণীত হয়েছে। বস্ত্র পরিদপ্তর-কে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়েছে। বস্ত্র খাতে ১১১০০ জন শিক্ষার্থীকে কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। মসলিনের প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ১টি তুলার জাত সনাক্তকরণ হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর বন্ধ থাকার পর রাজশাহী রেশম কারখানার ৬টি লুম চালুর মাধ্যমে রেশম বস্ত্র উৎপাদন শুরু হয়েছে। বহুমূখী পাটপণ্য উৎপাদনকারী ৭১৮ জন উদ্যোক্তা কর্তৃক ২৮১ ধরনের বহুমূখী পাটপণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। কোভিড -১৯ মহামারী কালে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে সহায়তার লক্ষ্যে পাটের ব্যাগ সরবরাহ করা হয়েছে ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস